বলাৎকারকে পুরুষ ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর জন্য আদেশ দিতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

সমাজকর্মী ড. সৌমেন ভৌমিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়া নুহাইয়া আহমেদ ও একটি মানবাধিকার সংগঠনের পরিচালক ড. মাসুম বিল্লাহ সম্মিলিতভাবে আজ বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করেন।

আবেদনে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা সংশোধন করে ‘নারী’ শব্দের স্থলে ‘ব্যক্তি’ ব্যবহারের অনুরোধ করেছেন।

আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়কে আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিমাসে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়।

রিট আবেদনের বরাত দিয়ে আবেদনকারীদের আইনজীবী তাপস কান্তি বল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অধীনে কোনও নারী পুরুষের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হলে তাকে ধর্ষণ বলে গণ্য করা হয়। নারী ভুক্তভোগীরা দণ্ডবিধির এই বিধানের অধীনে অপরাধের জন্য বিচার চাইতে পারেন।

তবে, ভুক্তভোগী পুরুষ হলে এ ধরনের অপরাধে ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার ও প্রতিকার পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই বর্তমান আইনে।

আইনজীবী তাপস আরও বলেন, দেশে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, তবে আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট রিট আবেদনটির শুনানি করতে পারেন বলে জানান তিনি।

 

Published in The Daily Star (linked)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *